বাংলা গদ্য সাহিত্যে বিদ্যাসাগর ও বর্তমান জীবনে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা - একটি পর্যালোচনা
Keywords:
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বাংলা গদ্য, বর্ণপরিচয়, অলঙ্কারAbstract
উনিশ শতকে হিন্দু সমাজ কুসংস্কারের পূর্ণ ছিল। এই সমাজকে মুক্ত করার জন্য যারা এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এই মহামানব শুধু সমাজ সংস্কারকই ছিলেন না। আজ বাংলায় যে নারী শিক্ষার প্রগতি ছড়িয়ে পড়েছে তা তাঁরই অবদান। আমরা যে বর্ণপরিচয়ের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার সূচনা করেছিলাম সেটিও তাঁর সৃষ্টি। বেশির ভাগ বাংলা সাহিত্য লেখা হয়েছিল পদ্যে। তিনিই প্রথম দেখিয়েছেন ভাষার মধ্য দিয়ে বক্তব্যকে কীভাবে সহজ, সরল, সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করা যায়। তাঁর হাত ধরেই বাংলা গদ্য পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তাঁর পূর্বে বাংলা গদ্যের সূচনা হলেও গদ্যে কলানৈপুণ্যের অলঙ্কার ছিল না। তিনিই সেই কাজটি সুসম্পন্ন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে সুকুমার সেন যথার্থই বলেছেন, ' বিদ্যাসাগরের আগে বাংলা গদ্যের চল ছিল চাল ছিল না।' এই রকম এক সৃজনশীল মানবের অস্তিম জীবন খুব করুণ ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল। তথাকথিত উচ্চ হিন্দু সম্প্রদায়ের থেকে একেবারে নিজেকে সরিয়ে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষের সহিত জীবন কাটিয়ে ছিলেন। তিনি কলকাতা থেকে চলে গিয়ে শেষ জীবন কাটিয়ে ছিলেন কার্মাটাঁড়-এ। সেখানে তিনি দরিদ্র আদিবাসীদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন ভগবান, তাদের কাছের মানুষ। তিনি একটা সময় প্রিয়জনের মৃত্যুতে গভীর শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। অসম্ভব জেদি এই মানুষটি শেষ বয়সে পরিবারের থেকে সম্পূর্ণ একা ছিলেন। এই প্রবন্ধের মধ্যে দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছি বাংলা গদ্য সাহিত্যে তাঁর অবদান ও বর্তমান সমাজে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কতটা।
Downloads
Published
How to Cite
Issue
Section
License
Copyright (c) 2023 Teachers' Journal
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.