শিল্পের তথ্যানুসন্ধান (দেশ ও বিদেশ) আদি, মধ্য, বর্তমান
Abstract
বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক ঐতিহাসিক যুগের পূর্বের সবচেয়ে পুরনো ছবি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘মানুষের স্বভাবই হচ্ছে আঁকা, সে যেমনই আঁকা হোক না কেন।' (মিত্র,অশোক, ১৯৯৫) এ সম্বন্ধীয় নানান গবেষণার মাধ্যমে হয়ত আদি মানবের ছবি আকার তাগিদকে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু এটাই আশ্চর্যের যে ছবির মধ্যে এমন গুণাগুন আছে, যথা, সরলরেখা, ঋজুতা, বলিষ্ঠতা, এবং আবেগ যে তাদের শিল্প গুণকে অবজ্ঞা করা যায় না। (মিত্র,অশোক, ১৯৯৫)
ভারতবর্ষের ইতিহাস-পূর্বক যুগের কিছু কিছু চিত্রনিদর্শন বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে যথা ভারতের মধ্যভাগে কাইমুর পর্বতমালায় মধ্যস্থ গিরিগুহা যেখানে শিকারচিত্র চিত্রিত হয়েছে। এছাড়াও বিন্ধ্যপর্বতের গুহাচিত্রেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিত্রাঙ্কনের চেষ্টা থাকলেও শিকারচিত্রই অধিক অঙ্কিত হয়েছে। (দাস, কৃষ্ণলাল, ১৯৮২) একখানি চিত্রে চিত্রিত আছে কোন একটি অজ্ঞাত জন্তুর পিছনে ধাবমান শিকারীর দল, অপর চিত্রে এক অশ্বারোহী এক হাতে অশ্বের বলগা ধরে আছে, অপর হাতে একটি গদা, এ ধরনের কিছু দৃষ্টান্তমূলক চিত্র। (দাস, কৃষ্ণলাল, ১৯৮২) এইসব গুহার কাছে লাল লোহাপাথরের চাঙড় পাওয়া গেছে, তাকে বলে ‘রাডল’। সেই লোহাপাথর ঘষে ঘষে লালচে বা খয়েরী রঙের গুঁড়ো বার করা হত রঙ তৈরী করার জন্য চিত্রসমালোচক অশোক মিত্র গুহাচিত্র এবং গুহা মানবের পদ্ধতিকে ও স্থানকে তগুহা মানুষের ছবি আঁকার কারখানাদ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। (মিত্র,অশোক, ১৯৯৫) ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদ্যমে ভারতবর্ষের বহু জায়গায় গুহাচিত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। যে দুটি রাজ্য থেকে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া গেছে তা হল মধ্যপ্রদেশ এবং উড়িষ্যা। মধ্যপ্রদেশের উৎকৃষ্ট চমকপ্রদ গুহাচিত্র আবিষ্কৃত হয়েছে ভীমভেটকায়।
Downloads
Published
How to Cite
Issue
Section
License
Copyright (c) 2023 Teachers' Journal
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.